প্রাথমিক তথ্য
বাংলাদেশে সবজির প্রকৃতি অনুযায়ী বিরুৎ, লতানো, গুল্ম ও বৃক্ষজাতীয় এসব ভাগে শ্রেণিবিভক্ত করা হয়।
(ক) বিরুৎজাতীয় সবজি-এরা লতানো হয় না, কোন কোন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির সময় অবলম্বন নিয়ে থাকে। যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, টমেটো ইত্যাদি।
(খ) লতানোজাতীয় সবজি-এরা লতানো হয়। যেমন- শশা, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, ঝিঙা, চিচিংগা, ধুন্দল, করলা ইত্যাদি।
(গ) গুল্মজাতীয় সবজি-গাছ ছোট সামান্য শক্ত হয়। যেমন- বেগুন, পেঁড়শ, মরিচ ইত্যাদি।
(ঘ) কাষ্টলজাতীয় সবজি-গাছ বড় এবং কাঠ হয়। যেমন- সাজিনা, বকফুল ইত্যাদি।
বাংলাদেশের সবজিসমূহের ধরন বা খাওয়ার উপযোগী হিসেবে কয়েক ভাগে বিভক্ত। যেমন-
(ক) পাতাজাতীয় সবজি- পুঁইশাক, লালশাক, ধনেপাতা, পিঁয়াজ পাতা, লেটুস, কলমি শাক, পালং শাক, মূলা শাক ইত্যাদি ।
(খ) ফলজাতীয় সবজি- বেগুন, কুমড়া, পেঁপে, টমেটো, ঢেঁড়শ ইত্যাদি।
(গ) কন্দালজাতীয় সবজি- আলু, কচু, মেটে আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি
(ঘ) ফুলজাতীয় সবজি- ফুলকপি, বা কলি, বকফুল, শাপলা ইত্যাদি।
(ঙ) কাগুজাতীয় সবজি- ডাঁটা, পানি কচু, মানকচু ইত্যাদি ।
(চ) বীজজাতীয় সবজি- শিম বীজ, কাঁঠাল বীজ ইত্যাদি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১. খাতায় প্রকৃতি ও ধরন অনুযায়ী সবজির নামের ছক (পৃথক পৃথক)।
২. ল্যাবরেটরীতে সবজিগুলো আনতে হবে অথবা বাজার প্রয়োজন ।
৩. সবজিগুলো বিছানোর টেবিল।
৪. সবজির প্রকৃতি ও ধরন অনুযায়ী তালিকা।
৫. সবজিগুলো পৃথকীকরণের পর রাখার পাত্র।
৬. হ্যান্ড গোব, খাতা, কলম, পেন্সিল ইত্যাদি।
কাজের ধাপ
১. বাজার হতে সবজিগুলো ক্রয় করে আনতে হবে অথবা বাজারে যেতে হবে।
২. সবজির তালিকা দেখে সবজি চিহ্নিত করে খাতায় ছকে লিখতে হবে। সে সময় সবজির বৈশিষ্ট্যও লিখতে হবে।
৩. এভাবে সবজিগুলোকে প্রকৃতি ও ধরন অনুযায়ী চিহ্নিত করে বাজারে সবজির প্রাপ্যতা শতকরা হারে বের করা যাবে।
আরও দেখুন...